সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার শহরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট: যানজটে জনভোগান্তি পিকনিক স্পটে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুর ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে আ.লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জামালগঞ্জে এক পরিবারের ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই ব্যাংকের সব শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন লেনদেনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও তিন এসআইকে অব্যাহতি আ.লীগের পুনর্বাসনে চেষ্টাকারীরা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে : হাসনাত আবদুল্লাহ খেলাপি আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতকে সক্রিয় করছে সরকার সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় : মঈন খান ফোকাস এখন একটাই- নির্বাচন : মির্জা ফখরুল
জামালগঞ্জে হতদরিদ্র ৩ পরিবারের কাছ থেকে

ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০১:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০৮:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছবি: হতদরিদ্র ভুক্তভোগী এক পরিবার।
স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জে হতদরিদ্র পরিবারকে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. নেছার আহমেদ। গত আ.লীগ সরকারের আমলে হতদরিদ্র ৩ টি পরিবারকে সরকারি ঘর দিবে বলে এককালীন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চাঁনবাড়ি গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সেলিম আহমদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা, মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে কবির আহমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, আমিরুল হকের ছেলে সুমন মিয়ার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ। প্রায় দু বছর অতিবাহিত হলেও তাদেরকে কোনো ঘর না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সেলিম আহমেদ জানান, আমি অসহায়, মানুষের বাড়ি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাই। নেছার মেম্বার সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা চায়। আমি ধার দেনা করে নেছার মেম্বারকে টাকা দেই। পরে ঘর না পাওয়ায় মেম্বারকে তাগদা দিলে দেই দিচ্ছি বলে সময় নিচ্ছে। এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখায়। তাই মেম্বারের বিরুদ্ধে আমিসহ আরও দুই জন অভিযোগ করি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. নেছার আহমদ বলেন, আমি ঘর দেয়ার কথা বলে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। লালবাজারের লিলু মিয়া নামে এক লোক আমাদের এলাকার কয়েকজন অসহায় পরিবারকে ঘর ও টিউবওয়েল দিয়েছে। সেই বিশ্বাসে তারাও লিলু মিয়াকে টাকা দিয়েছে। তবে টাকা দেয়ার সময় আমাকে সাক্ষী রেখেছে। শুধু তারা নয় এলাকার আরো একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকেই লিলু মিয়া টাকা নিয়ে লাপাত্তা। তবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। সে স্বীকার করেছে খুব শীঘ্রই তাদের টাকা ফেরত দিবে। যার প্রমাণও আমার কাছে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে যদি আমি দোষী হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমি মাথা পেতে নিবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স